
শ্বাসরুদ্ধকর এক ফাইনাল ম্যাচে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) শিরোপা ঘরে তুলেছে সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও রিশাদ হোসেনের দল লাহোর কালান্দার্স। শেষ দিকে একের পর এক রোমাঞ্চকর ম্যাচ জিতে ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া লাহোর, গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালেও তাদের সেই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখে।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০১ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে লাহোর কালান্দার্স ১ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।
রান তাড়া করতে নেমে লাহোরের শুরুটা বেশ ভালোই ছিল। তবে মাঝের ওভারগুলোতে মনে হচ্ছিল, সাকিব-মিরাজ-রিশাদদের দলের শিরোপা স্বপ্ন হয়তো ভেস্তে যেতে পারে। ঠিক সেই মুহূর্তে ত্রাতা হয়ে আসেন সদ্য ইংল্যান্ড থেকে উড়ে আসা সিকান্দার রাজা এবং শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরা। তাদের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ভর করে লাহোর এক রোমাঞ্চকর জয় ছিনিয়ে নেয়।
শেষ তিন ওভারে লাহোরের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪৭ রান। সেই কঠিন সমীকরণে খুররম শেহজাদের করা ওভারে ১৫ রান তুলে নিয়ে চাপ কিছুটা কমান সিকান্দার রাজা ও কুশল পেরেরা। এরপর মোহাম্মদ আমিরের করা পরের ওভারে পেরেরা একটি চার মারেন। ওই ওভারে দুটি ওয়াইড ও একটি লেগ বাইসহ মোট ৭ রান আসে। শেষ দুই বলে আমির মাত্র ১ রান দিলে সমীকরণ কিছুটা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে অভিজ্ঞ পেরেরা শেষ দুটি বলে একটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে ১০ রান নিয়ে খেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।
শেষ ওভারে লাহোরের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান, যখন বল হাতে আসেন ফাহিম আশরাফ। এর আগে তিন ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়া এই বোলারের প্রথম ডেলিভারিটিই ছিল ওয়াইড। পরের তিন বলে তিনি মাত্র ৪ রান দিলে শেষ তিন বলে লাহোরের প্রয়োজন দাঁড়ায় ৮ রান। ঠিক তখনই পরপর দুই বলে একটি ছক্কা ও একটি চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন সিকান্দার রাজা। রাজা অপরাজিত থাকেন ৭ বলে ২২ রান করে এবং কুশল পেরেরা ৩১ বলে অপরাজিত ৬২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন।

এর আগে ব্যাট হাতে কোয়েটার হাসান নেওয়াজ ৪৩ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৭৬ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেন। এছাড়া আভিস্কা ফার্নান্ডো ২২ বলে ৫টি চারের মারে ২৯ রান করেন। লাহোরের বোলারদের মধ্যে শাহিন আফ্রিদি ২৪ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেন। সালমান মির্জা ও হারিস রউফ নেন ২টি করে উইকেট। বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন এবং জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা একটি করে উইকেট লাভ করেন। তবে বাংলাদেশের দুই তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ এই গুরুত্বপূর্ণ ফাইনালে লাহোরের প্রথম একাদশে ছিলেন না।