Sports News

ফারুকের অপসারণ: আইসিসির নিয়মাবলী এবং বিসিবির অবস্থান

ফারুকের অপসারণ আইসিসির নিয়মাবলী এবং বিসিবির অবস্থান
ফারুকের অপসারণ: আইসিসির নিয়মাবলী এবং বিসিবির অবস্থান

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদ থেকে ফারুক আহমেদের অপসারণ এবং এর পেছনে কাজ করা কারণগুলো বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এই অপসারণ প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কোনো প্রশ্ন তুললে বিসিবি কীভাবে নিজেদের রক্ষা করবে, তা নিয়েও জল্পনা-কল্পনা চলছে।
মূলত, ফারুক আহমেদকে অপসারণের পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে বোর্ড পরিচালকদের অনাস্থা চিঠি। আকরাম খান ব্যতীত বাকি সব পরিচালকের স্বাক্ষর করা এই চিঠিটি ফারুককে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে বিসিবি উল্লেখ করতে পারে। এই অনাস্থা প্রস্তাবের জের ধরেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) তার কাউন্সিলর মনোনয়ন বাতিল করেছে।
আইসিসি যদি ফারুকের অপসারণ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে, তাহলে বিসিবির সামনে নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর এটিই আপাতত সেরা পথ। কারণ, যদিও এই অপসারণে সরকারি প্রভাবের কথা বলা হচ্ছে, তবে এখানে বিসিবির অভ্যন্তরীণ একটি প্রক্রিয়া (পরিচালকদের অনাস্থা প্রস্তাব) অনুসরণ করা হয়েছে। ফলে বিসিবি এই বিষয়টি সঠিকভাবে তুলে ধরে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে পারে।
ফারুক আহমেদের ক্রিকেট ক্যারিয়ারও উল্লেখযোগ্য। তিনি ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য ছিলেন এবং ১৯৯৪ সালের আইসিসি ট্রফিতে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বও দিয়েছিলেন। বিসিবির প্রধান নির্বাচক হিসেবেও তার দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, আইসিসির প্রতিক্রিয়া এবং বিসিবির পরবর্তী পদক্ষেপের ওপরই নির্ভর করছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *