
বাংলাদেশের ব্যাটিং বিশ্লেষণ:
এই স্কোরবোর্ড অনুযায়ী, বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের উপরের ও মাঝের সারির পারফরম্যান্স খুবই হতাশাজনক। পাকিস্তানের দেওয়া 202 রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ২০ ওভারে মাত্র 144 রান করে অল আউট হয়ে যায়, যা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
* ওপেনিং এবং টপ অর্ডার:
* তানজিদ হাসান (T. Hasan) 33 রান করে কিছুটা চেষ্টা করলেও, তার ইনিংসের স্ট্রাইক রেট (173.68) তুলনামূলক ভালো। কিন্তু তিনি বড় স্কোর করতে পারেননি।
* পারভেজ হোসেন ইমন (P. H. Emon) মাত্র 8 রান করে আউট হন, যা ওপেনার হিসেবে দলের জন্য বড় ধাক্কা।
* লিটন দাস (L. Das) 6 রান করে আউট হন। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে তার কাছ থেকে আরও বেশি রান আশা করা হয়েছিল।
* তৌহিদ হৃদয় (T. Hridoy) 5 রান করে আউট হন। তার কাছ থেকে মিডল অর্ডারে একটি দৃঢ় ইনিংস আশা করা হয়, যা তিনি দিতে পারেননি।
* মিডল অর্ডার:
* মেহেদী হাসান মিরাজ (M. Miraz) 23 রান করে কিছুটা অবদান রাখেন, কিন্তু তার ইনিংসও দলের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
* জাকির আলী (J. Ali) শূন্য রানে আউট হন, যা মিডল অর্ডারে আরেকটি ব্যর্থতা।
* শেখ মেহেদী হাসান (S. Hossain) মাত্র 7 রান করেন।
9 নম্বরে ব্যাট করতে নামা একজন বোলার তানজিম সাকিবের 31 বলে 50 রানের গুরুত্ব:
9 নম্বরে ব্যাট করতে নেমে তাসকিন আহমেদ (Tanjim Sakib) 31 বলে 50 রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন, যার মধ্যে 1টি চার এবং 5টি ছক্কা ছিল। তার স্ট্রাইক রেট ছিল 161.29। এই ইনিংসটির গুরুত্ব অপরিসীম কারণ:
* একক লড়াই: যখন দলের উপরের সারির ব্যাটসম্যানরা একে একে ব্যর্থ হয়েছেন, তখন তাসকিন একাই দলের হয়ে লড়াই করেছেন। তিনি দলের সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন।
* মর্যাদা রক্ষা: এই ইনিংসটি দলের মোট রানকে একটি সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। যদি তাসকিন এই ইনিংসটি না খেলতেন, তাহলে বাংলাদেশের স্কোর আরও অনেক কম হতো এবং দলের পরাজয়ের ব্যবধান আরও বড় হতে পারত।
* আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি: একজন বোলারের কাছ থেকে এমন বিস্ফোরক ব্যাটিং দলের অন্যান্য সদস্য এবং সমর্থকদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। এটি প্রমাণ করে যে প্রয়োজনে লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরাও ব্যাট হাতে অবদান রাখতে পারেন।
* প্রতিপক্ষের উপর চাপ: তার এই দ্রুতগতির ফিফটি প্রতিপক্ষের বোলারদের উপর কিছুটা হলেও চাপ সৃষ্টি করেছিল এবং তাদের জয়ের আনন্দকে কিছুটা হলেও ম্লান করে দিয়েছিল।
বাংলাদেশের বাকি উপরের ব্যাটারের অবস্থা যে খুব ভালো না এবং তারা যে কখনোই পারেনা:
এই স্কোরবোর্ড ই বলে দেয় যে গতকাল বাংলাদেশের উপরের সারির ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স খুবই দুর্বল ছিল। তানজিদ হাসান ছাড়া কেউই উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি এবং তারা কেউই ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি। লিটন দাস, পারভেজ হোসেন ইমন, তৌহিদ হৃদয়, জাকির আলী, মেহেদী হাসান এবং শামীম পাটোয়ারীর মতো স্বীকৃত ব্যাটসম্যানরা খুবই কম রানে আউট হয়েছেন। তাদের এই ধারাবাহিক ব্যর্থতা দলের জন্য একটি বড় চিন্তার বিষয়।
“তারা যে কখনোই পারেনা” – এই কথাটি বলা কঠিন। তবে এই নির্দিষ্ট ম্যাচটিতে তাদের পারফরম্যান্স এতটাই খারাপ ছিল যে এই মন্তব্যটি তাদের পারফরম্যান্সের যথার্থতা তুলে ধরে। তাদের কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীল ব্যাটিং আশা করা হয়। এই ব্যর্থতা দলের পরাজয়ের অন্যতম প্রধান কারণ।
তবুও একটা কথা বলতেই হয়, তাসনজিম সাকিবের দুর্দান্ত ব্যাটিং সত্ত্বেও, উপরের সারির ব্যাটসম্যানদের সম্মিলিত ব্যর্থতা বাংলাদেশের পরাজয়ের মূল কারণ।
