
ফুটবল মাঠে নামার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন শমিত সোম, আর সেই উত্তেজনার পারদ ছুঁয়েছে কানাডা থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) পাঠানো এক আবেগঘন ভিডিও বার্তায় এই তরুণ মিডফিল্ডার নিজের রোমাঞ্চ আর দেশের সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
ফেডারেশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বৃহস্পতিবার (৮ মে, ২০২৫) প্রকাশিত সেই ভিডিওতে শমিত বলেন, “আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়ানোর সুযোগ পেয়ে আমি সত্যিই শিহরিত। আপনাদের সকলের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।”
এই স্বপ্নপূরণের পথটাও নেহাত কম রোমাঞ্চকর ছিল না শমিতের জন্য। গত ৬ মে ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির সবুজ সংকেত পান তিনি। এর আগে, গত ২০ এপ্রিল জন্মসনদ হাতে পাওয়ার পর ১ মে কানাডা সকার অ্যাসোসিয়েশনের ছাড়পত্র এবং সবশেষে ৫ মে বাংলাদেশের পাসপোর্ট – যেন এক স্বপ্নের দৌড়ে শামিল হয়েছিলেন শমিত। এত দ্রুত পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি তিনি। উচ্ছ্বসিত শমিতের কথায়, “যারা এই পুরো প্রক্রিয়াটিকে এত অল্প সময়ে সফল করতে সাহায্য করেছেন, তাদের প্রতি আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।”
শমিতের এই আগমন বিদেশের মাটিতে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি প্রতিভাদের জাতীয় দলে যোগদানের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের এক নতুন দৃষ্টান্ত। এর আগে, গত ২৫ মার্চ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরী। তার অভিষেকের পর থেকেই প্রবাসী খেলোয়াড়দের মধ্যে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়ানোর একটা নতুন लहर তৈরি হয়েছে।
তবে এই পথের দিশারী ছিলেন জামাল ভূঁইয়া। ডেনমার্কে জন্ম নেওয়া এই মিডফিল্ডারই প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় হিসেবে ২০১৩ সালে বাফুফের সাথে যোগাযোগ করে জাতীয় দলে নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন। জামালের দেখানো পথ ধরেই আজ হামজা, শমিতের মতো প্রতিভারা আসছেন বাংলাদেশের ফুটবলকে সমৃদ্ধ করতে।
শমিত সোমের এই অন্তর্ভুক্তি নিঃসন্দেহে দেশের ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক আনন্দের সংবাদ। তার পায়ের জাদুতে মুখরিত হোক বাংলাদেশের ফুটবল মাঠ, সেই প্রত্যাশাই এখন সবার।
