
উয়েফা নেশনস লিগের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় রচিত হলো! এক রোমাঞ্চকর ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী স্পেনকে টাইব্রেকারে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তুললো ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল। এর আগে ২০১৯ সালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পর্তুগিজরা, এবার তারা গড়েছে একাধিকবার নেশনস লিগ জেতার অনন্য রেকর্ড।

ম্যাচের টান টান উত্তেজনা: ফাইনালটি ছিল যেন ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক রোলারকোস্টার যাত্রা। নির্ধারিত ৯০ মিনিট এবং অতিরিক্ত সময় শেষেও ম্যাচ ২-২ গোলে সমতায় ছিল। স্পেন প্রথমে লিড নিয়েছিল ২১ মিনিটে মার্তিন জুবিমেন্দির গোলে। তবে পর্তুগাল দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ায়, মাত্র ৫ মিনিট পরেই নুনো মেন্দেজ গোল করে সমতা ফেরান। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে মিকেল ওইয়ারসাবাল আবার স্পেনকে এগিয়ে দেন। কিন্তু পর্তুগালের জয়ের আকাঙ্ক্ষা দমে যায়নি; দ্বিতীয়ার্ধের ৬১ মিনিটে দলের কিংবদন্তি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দুর্দান্ত ডান পায়ের শট পর্তুগালকে সমতায় ফেরায়। এই গোলই ম্যাচকে নিয়ে যায় অতিরিক্ত সময়ে, এবং শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে।

টাইব্রেকারে পর্তুগালের স্নায়ুর চাপ: টাইব্রেকারে পর্তুগিজরা দেখিয়েছে তাদের অসাধারণ দৃঢ়তা। পাঁচটি শটের একটিও তারা মিস করেনি। গনসালো রামোস, ভিতিনিয়া, ব্রুনো ফার্নান্দেজ, নুনো মেন্দেজ এবং রুবেন নেভেস – সবাই সফলভাবে বল জালে জড়ান। অন্যদিকে, স্পেনের হয়ে মিকেল মেরিনো, অ্যালেক্স বায়েনা ও ইসকো গোল করলেও, দলের চতুর্থ শটটি নিতে আসা আলভারো মোরাতাকে রুখে দেন পর্তুগাল গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তা। এরপরই রুবেন নেভেস শেষ শটটি গোল করে পর্তুগালের জয় নিশ্চিত করেন।

রোনালদোর চোটে উদ্বেগ, তবুও ট্রফি তার হাতেই: ৮৮ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় পর্তুগালের প্রাণভোমরা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। এটি পর্তুগাল সমর্থকদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়ালেও, দলের বাকি সদস্যরা দুর্দান্ত লড়াই চালিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে জয়ী হয়ে ট্রফি উঠল রোনালদোর হাতেই। এই জয় পর্তুগিজ ফুটবলের ইতিহাসে এক নতুন সোনালী পালক যোগ করলো।