Sports News

বার্সেলোনাকে বিধ্বস্ত করে চ্যাম্পিয়নস লিগের মঞ্চে এস্তেভাওয়ের ঝলক, ম্লান লামিনে ইয়ামাল

চ্যাম্পিয়নস লিগের লিগ পর্বের এক হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে বার্সেলোনাকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে চেলসি। মঙ্গলবার রাতে চেলসির ঘরের মাঠ স্টামফোর্ড ব্রিজে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে বার্সা কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি। তবে ম্যাচের মূল আকর্ষণ ছিল চেলসির ব্রাজিলিয়ান তরুণ এস্তেভাও, যিনি নিজের আলোয় ম্লান করে দিয়েছেন বার্সার তারকা টিনএজার লামিনে ইয়ামালকে।এই ম্যাচের সব ফোকাস ছিল চেলসির ১৮ বছর বয়সী এস্তেভাওয়ের ওপর। ৫৫ মিনিটে তিনি যে দুর্দান্ত গোলটি করেন, তা মনে করিয়ে দেয় কেন তাকে ‘মেসিনিও’ নামে ডাকা হয় এবং কেন তিনি বার্সার ডিফেন্ডারদের বিভীষিকা হয়ে ওঠেন।চেলসির এই বিশাল জয়ের শুরুটা হয় ২৭ মিনিটে বার্সার ডিফেন্ডার জুলস কুন্দের আত্মঘাতী গোলে। এরপর ৫৫ মিনিটে এস্তেভাওয়ের দৃষ্টিনন্দন গোলটি বার্সার মনোবল ভেঙে দেয়। ম্যাচের শেষ গোলটি আসে ৭৩ মিনিটে, চেলসি স্ট্রাইকার লিয়াম দালেপের বুট থেকে।ম্যাচের আগে থেকেই কাছাকাছি বয়স ও প্রতিভার কারণে আলোচনায় ছিলেন এস্তেভাও এবং ইয়ামাল। কিন্তু খেলার মাঠে দেখা যায় সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র।

1000298625

বার্সার ইয়ামালকে কার্যত বোতলবন্দি করে রাখেন চেলসির স্প্যানিশ ডিফেন্ডার মার্ক কুকুরেয়া। যদিও ইয়ামাল ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪টি সফল ড্রিবল ও ১২টি ‘ডুয়েল’ জিতে লড়াই করার চেষ্টা করেন, কিন্তু অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে তার প্রচেষ্টা ভেস্তে যায়। পুরো ম্যাচে তিনি মাত্র একটি শট নিতে সক্ষম হন।অন্যদিকে, ইয়ামালের ব্যর্থতার রাতে এস্তেভাও ছিলেন উজ্জ্বল। তিনি মোট দুটি শট নেন, যার মধ্যে ৫৫ মিনিটের গোলটি ছিল এক কথায় অসাধারণ। দৃষ্টিনন্দন দলগত পাসিংয়ের পর ডান প্রান্তে বল পেয়ে বিদ্যুৎ গতিতে বক্সে ঢুকে পড়েন এস্তেভাও। প্রথমে তিনি বার্সার ডিফেন্ডার পাও কুবারসিকে রীতিমতো নাকাল করে কাটান। এরপর এগিয়ে আসা আরেক ডিফেন্ডার আলেহান্দ্রো বালদেকেও কাছে ঘেঁষতে না দিয়ে জোরালো শটে গোল করেন। এই গোলের পরই বার্সা মানসিকভাবে পুরোপুরি ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়।১৮ বছর ২১৫ দিন বয়সে গোল করে এস্তেভাও চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে তৃতীয় ‘টিনএজ’ ফুটবলার হিসেবে প্রথম তিন ম্যাচে গোল করার রেকর্ড গড়েন। এর আগে এই কীর্তি গড়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে (১৮ বছর ১১৩ দিন) এবং আর্লিং হলান্ড (১৯ বছর ১০৭ দিন)।এই মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে এস্তেভাওয়ের এটি ছিল দশম গোল। ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত এস্তেভাও বলেন, “আমার কেমন লাগছে, তা বলার ভাষা আমার নেই। এটা ছিল নিখুঁত এক রাত। সবকিছু খুব দ্রুত ঘটে গেছে। শুধু একটু জায়গা খুঁজে বেরিয়ে গোলটা করলাম।

1000298624

এটা আমার ক্যারিয়ারের জন্য খুবই বিশেষ মুহূর্ত।”এই পারফরম্যান্সের পর এস্তেভাওয়ের সঙ্গে আবারও মেসির তুলনা শুরু হলেও, চেলসি কোচ এনজো মারেসকা এই তুলনাকে নিরুৎসাহিত করেছেন। জয়ী কোচ বলেন, “সে এবং লামিন (ইয়ামাল) দুজনেই খুব তরুণ, মাত্র ১৮ বছর। আপনি যদি তাদের সঙ্গে মেসি বা রোনালদোর তুলনা করা শুরু করেন, তবে আমার মনে হয় এটা তাদের জন্য অনেক বেশি চাপের।” মারেসকা মনে করেন, এই বয়সে তাদের শুধু খেলা উপভোগ করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *